Recent

6/recent/ticker-posts

Advertisement

Responsive Advertisement

নারী-পুরুষ সমঅধিকারের নামে নারীদের বৈষম্য করা হচ্ছে

নারী-পুরুষ-সমঅধিকারের


ইসলাম বিদ্ধেশীরা বলছে ইসলাম নারীদের অধিকার কম দিয়েছে।

কিন্তু মহান আল্লাহ কোরআনে বলছেন:-
”আল্লাহ তোমাদের বোঝা হালকা করতে চান। যারা কামনা-বাসনার অনুসারী, তারা চায় যে, তোমরা পথ থেকে অনেক দূরে বিচ্যুত হয়ে পড়।” [সূরা নিসা -(২৭,২৬ এর আয়াতাংশ)]
নারীরা সাধারণত তুলানোমুলক ভাবে বেশি আবেগ প্রবণ এবং নারীদেরকে মহান আল্লাহ তা’য়াল দূর্বল করে সূষ্টি করেছেন কিন্তু নারীরা মানুষের মাঝে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এ ক্ষমতা মহান আল্লাহ তা’য়ালা তাদেঁর দিয়েছেন যাতে তাঁরা সন্তান কে সু-সন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।
কিন্তু নারীবাদীরা নারীদের ব্রেইন ওয়াশ করে দিয়েছে তারা বলছে পুরুষ যা করবে নারীরা তা কাজ করতে পারবে এবং তারা ও তা করবে। কারণ নারী-পুরুষ সমঅধিকার।
যদি নারী-পুরুষ সমঅধিকার হয় তাহলে নারীরা যে অতিরিক্ত কাজ করতে হচ্ছে তা হল ;-
১/ নারীরা সন্তান জন্মদিতে হয় ।
২/ সন্তান লালন-পালন করতে হয়।
৩/ স্বামীর মন জয় করতে হয়।
৪/ বসের মন জয় করতে হয়।
৫/ ঘরের কাজ অফিসের কাজ করতে হয়।
আমার নজরে এগুলো পড়েছে ভালোভাবে খেয়াল করলে আরো বের হবে।
এবার আসি পুরুষদের কি উপকার হয়েছে:-
১/ নিজের স্ত্রী- সন্তানের দায়িত্ব থেকে রেহাই পেয়ে গেল।
২/ একজন নারীকে থেকে সে সবধরণের সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে কিন্তু বিনিময়ে কি দিচ্ছে সেটা আপনারা চিন্তা করুন।
৩/ যেহেতু দায়িত্ব নিতে হচ্ছে না তাই তারা পরকীয়া করছে।
সমাজে চোখ রাখুন আরো অনেক কিছু দেখবেন।
মোটকথা হল এখানে লাভ হচ্ছে পুরুষের এবং ক্ষতি হচ্ছে নারীর এবং তার সন্তাদের
সন্তান লালনের দায়িত্ব মা-বাবা দুইজনের যা ইসলাম বলে। নারী শুধু সন্তান লালন করবে এবং স্বামীর মন জয় করবে এটাই তাঁর দায়িত্ব। অন্যদিকে স্মামী তাদের ভরন-পোষণ বহন করবে।
কিন্তু কোন নারী যদি এই দুইটি ঠিকভাবে করতে পারে তাহলে সে অন্য কোন কাজ করতে পারে যেখানে তার কোন ক্ষতির আশংকা থাকবেনা , তা ইসলাম অনুমোদন দেয় আলহামদুল্লিলাহ।
নারী-পুরুষ সমঅধিকার এর ফলে সমাজের যা ক্ষতি হচ্ছে:-
১/ সন্তান বেড়ে উঠছে অযত্নে এবং বড় হয়ে মা-বাবার খোঁজ নিচ্ছে না । টাকা দিলে দিচ্ছে না দিলে নেই ।
২/ সংসার গুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে । কিছুদিন আগে একটি জরিপে দেখলাম প্রতি ৩৭ মিনিটে একটি বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটছে।
স্বাভাবিক একজন নারী এতগুলো দায়িত্ব পালন করতে করতে মেজাজ খিটখিটে এবং স্বামী শুধু অফিস করে মেজাজ খিটখিটে এভাবেই ঝগড়া ডির্ভোস।
প্রধান কারণগুলো তুলে ধরলাম বাকীগুলো আপনারা চিন্তা করুন।
অবশেষে বলতে গেলে, সূরা নিসা এর ২৭ নং আয়াতের বাস্তব রুপ নিচ্ছে ।মহান আল্লাহ নারীদের ভার হালকা করতে চান কিনতু তাঁরা কামনা-বাসনা কারীদের অনুসারী হয়ে নিজের ক্ষতি করেছে।
আমাদের দেশে পরিস্তিতি টা এখন গুরুতর হয়নি কিন্তু উন্নত দেশগুলোর দিকে থাকালে এটা স্পষ্ট দেখতে পাবেন।

Post a Comment

0 Comments