Recent

6/recent/ticker-posts

Advertisement

Responsive Advertisement

কোরআনে শব্দ ব্যবহারের ব্যাপারে হুশিয়ারি !

 
হে_মু’মিনগণ_তোমরা_‘রা‘য়েনা_ বলনা_বরং_‘উনযুরনা’_বল

হে মু’মিনগণ! তোমরা ‘রা‘য়েনা’ বলনা, বরং ‘উনযুরনা’ বল।(২।১০৪)

রায়িনার رَاعِيْنَا অর্থ হলো হে আমাদের রাখাল! যা ছিল শত্রুতা ও অপমানজক সম্বোধন। (اُنْظُرْنَا) উনজুরনা এর অর্থ হলো “আমাদের খেয়াল করুন” ।

ইহুদিরা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে ব্যাঙ্গ করে رَاعِيْنَ (‘রা‘য়েনা) শব্দটি ব্যাবহার করে দৃষ্টি আকর্ষণ করতেন এবং সাধারণ মানুষেরা ও নবী (সঃ) এর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য না জেনে এই শব্দটি ব্যবহার করা শুরু করে দিলো । কিন্তু মহান আল্লাহ সূরা বাকারার ১০৪ নং আয়াত নাজিল করে মুমিনদের বলে দিলেন তারা যেন ”‘উনযুরনা” বলে নবী (সঃ) এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ।


ড.ইয়াদ কুনাইবি "কোরআন জীবনের গাইডলাইন" বইয়ে শব্দ চয়নের ব্যাপারটি উল্লেখ করেছেন । আপনি চাইলে বইটি পড়তে পারেন ।
আমরা যেকোন গুনাহের দিকে আকর্ষণ অনুভব করি মূলত এটি যে গুনাহ তা বুঝতে না পারার কারণে অথবা গুনাহের তীবতা সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে।
যেমন ধরুন ।
”একজন ছেলে একটি মেয়ে কে বললো আমি তোমার সাথে প্রেম করতে চাই । ”

কিন্তু ইসলাম তো বিয়ের আগের সকল সম্পর্ক কে যেনা বলেছে । তাহলে উক্তিটি হবে

”একজন ছেলে একটি মেয়ে কে বললো আমি তোমার সাথে জেনা করতে চাই ।”
উপরের লাইনটা কি কোন মুসলমান কাউকে বলতে পারবে ?

আরো কয়েকটি উদাহারণ দেখি ।
বন্ধু আমি মেয়েটার সাথে যেনাহ (প্রচলিত অর্থ প্রেম) করি । এটা আমার যেনা করার সঙ্গী (প্রচলিত অর্থ প্রেমিকা) । বন্ধু দেখ ব্যাভিচারিনি / যেনাকারিনি ( প্রচলিত অর্থ নায়িকা ) টা কি সুন্দর ।

আমাদের কে অবশ্যই শব্দ চয়নের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে।
শয়তান খুব সুক্ষ ভাবে নাম পরিবর্তন করার মাধ্যমে আমাদের কে গুনাহের দিকে দাবিত করছে ।
সেজন্য আমাদের উচিত মুসলিম হিসেবে মহান আল্লাহ যে শব্দ ব্যাবহার করেছেন সেই শব্দ ব্যাবহার করা । এতে আমাদের গুনাহ করার হার টা অনেক অংশে কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।




Post a Comment

0 Comments