Recent

6/recent/ticker-posts

Advertisement

Responsive Advertisement

দ্যা সিক্রেট অফ সাকসেসফুলনেস

 

The_secret_of_success

প্রথমেই বলে রাখছি ২ নং বিষয়ে আমাকে সরাসরি কখনো প্রশ্ন করবেন না ।যা বলছি তা বিশ্বাস করতে ও পারেন না করলে স্কিপ করতে পারেন ।
সফলতা সবাই চাই, আমি একটি চাকরি পাওয়া কিংবা ছোটখাটো সফলতার কথা বলছি না । আমি বলছি ,মানুষ যাদের কে দেখে মনে করে তারা সফল ,যেমন ফেসবুকের প্রতিষ্টাতা এবং বিশ্বের ধনী মানুষদের কথা। যাদের সবাই চিনে।
সফলতা একটা নিদিষ্ট বয়সে আসে । ৩০-৪০ বা আরো বেশি ।

তাদেঁর সফলতার রহস্য কি ?

এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে আমি বলতে চাই দুইভাবে সফলতা অর্জন করা যায় ।

১/ আল্লাহর উপাসনা করে ।

২/ শয়তানের উপাসনা করে ।

এক নাম্বার পথটি বেচেঁ নিলে আপনি দুনিয়া এবং আখিরাত দুইটাই পাবেন। তবে এক নাম্বার এর মাধ্যমে অর্জন করার ক্ষেত্রে আপনার শত্রু থাকবে । যা হল শয়তান । আপনি যদি একমাত্র আল্লাহর গোলাম হতে পারেন তা হলে আপনি সফল হতে পারবেন ।

উদাহারণ স্বরুপ: - হয়রত মুহাম্মদ (সঃ) , হযরত সুলায়মান (আঃ) ...............

দুই নং পথটি বেচেঁ নিলে আপনি শুধু দুনিয়া পাবেন কিন্তু পরকালে কিছুই পাবেন না । এবং এ পথে আপনার সাহায্যাকারী হিসেবে শয়তান থাকবে । তবে আপনি ভুলভাবে উপাসনা করলে ইউ হেভ টু কম্মমিটেড সুইসাইড।

উদাহারণ স্বরুপ দ্যা ব্লাক ফরেস্ট অর দ্যা ডেট ফরেস্ট । যেখানে অনেক মানুষ প্রতিদিন সুইসাইড করে শয়তানের জন্য Il করে বললে ভুল হবে বলতে হবে তাঁদের কে করানো হয় । তাঁদের আত্না কে জাহান্নামে পাঠিয়ে ইহুদিরা শক্তিশালী হচ্ছে !

বিশ্বাস হয়?

না হলে কিছু করার নেই ।
এটা আমার ব্যাক্তিগত দর্শন যা আপনি গ্রহণ করেন আর না করেন আমার কোন যায় আসে না। বাট ইউ হেভ টু নো দ্যা টুট ।
তবে আপনাকে একটি কথা বলে রাখি তা হল ইহুদি-খিষ্টানরা শয়তানের উপাসনার ফল হল এই ফেসবুক ,ইউটিউব ইত্যাদি তৈরী হয়েছে। একটু নেটে সার্চ দিলে দেখবেন যত সিক্রেট জিনিস বানায় তারা হল ইহুদিরা । তাঁরা ব্লেক ম্যাজিক প্রেক্টিস করে ।

illuminati666.org...…..Alert...…..Link not available..............Malware............Darkside 





দুই নং পয়েন্ট নিয়ে আমি কিছু লিখবো না । তবে আমি আপনাকে দেখাবে ইসলাম ধর্ম অনুসারে কিভাবে আপনি সফল হবেন । যেভাবে হয়েছিলেন মুহাম্মদ (সঃ)।
ইসলামে জীবনের সব কিছু বলা আছে । আপনাকে শুধু কোরআন-হাদীস পড়তে হবে গভীর জ্ঞান অর্জনের জন্য।
..................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................

হে চাদর আবৃত!

রাতে সালাতে দাঁড়াও কিছু অংশ ছাড়া।

....................................................................................
নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি এক অতিভারী বাণী নাযিল করছি।
সূরা মুযযাম্মিল এর আয়াত গুলোতে মহান আল্লাহ নবী (সঃ) ডাকছেন রাতে সালাতে দাড়াঁনোর জন্য।
বলছিলাম আপনি কিভাবে দুনিয়ায় সফলতম ব্যাক্তি হবেন এই বিষয়ে ...
লিখছি আমি কিন্তু ব্যাখ্যা আমার নই । ব্যাখ্যা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক এর।
সূরা মুযযাম্মিল এর উক্ত আয়াতে তো মহানবী (সঃ) কে ডাকছেন কিন্তু তিনি কি আমাদের এভাবে ডাকেন ?
প্রত্যেক রাতে যখন রাতের প্রথম তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হয় তখন আল্লাহ তা'আলা দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করে বলতে থাকেন- আমিই একমাত্র বাদশাহ কে এমন আছ আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দিব। কে এমন আছ আমার কাছে প্রার্থনা করবে, আমি তাকে দান করব। কে এমন আছ যে, আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব, ফজরের আলো ছড়িয়ে না পড়া পর্যন্ত আল্লাহ এরূপ বলতে থাকেন। (Hadith)
উপরোক্ত হাদীস থেকে বুঝা যায় আল্লাহ আমাদের দেওয়ার জন্য ডাকেন আর আমরা হতাভাগারা চাই না । তাঁর তো কোন অভাব নেই ।

আবূ যর আল-গিফারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বরকতময় ও সুমহান রবের নিকট হতে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ্ বলেছেন:

"হে আমার বান্দাগণ! আমি যুলুমকে আমার জন্য হারাম করে দিয়েছি, আর তা তোমাদের মধ্যেও হারাম করে দিয়েছি; অতএব তোমরা একে অপরের উপর যুলুম করো না।
হে আমার বান্দাগণ! আমি যাকে হেদায়াত দিয়েছি সে ছাড়া তোমরা সকলেই পথভ্রষ্ট। সুতরাং আমার কাছে হেদায়াত চাও, আমি তোমাদের হেদায়াত দান করব।

হে আমার বান্দাগণ! আমি যাকে অন্ন দান করেছি, সে ছাড়া তোমরা সকলেই ক্ষুধার্ত। সুতরাং তোমরা আমার নিকট খাদ্য চাও, আমি তোমাদের খাদ্য দান করব।
হে আমার বান্দাগণ! তোমরা সবাই বিবস্ত্র, সে ব্যতীত যাকে আমি কাপড় পরিয়েছি। সুতরাং আমার কাছে বস্ত্র চাও, আমি তোমাদেরকে বস্ত্রদান করব।

হে আমার বান্দাগণ! তোমরা রাতদিন গোনাহ্ করছ, আর আমি তোমাদের গোনাহ্ ক্ষমা করে দেই। সুতরাং আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দেব।
হে আমার বান্দাগণ! তোমরা কখনোই আমার ক্ষতি করার সামর্থ রাখ না যে আমার ক্ষতি করবে আর তোমরা কখনোই আমার ভালো করার ক্ষমতা রাখ না যে আমার ভালো করবে।
হে আমার বান্দাগণ! তোমরা পূর্বাপর সকল মানুষ ও জিন যদি তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মোত্তাকী ও পরহেযগার ব্যক্তির হৃদয়ের মত হয়ে যায়, তবে তা আমার রাজত্বে কিছুই বৃদ্ধি করবে না।

আমার বান্দাগণ! তোমাদের পূর্বাপর সকল মানুষ ও জিন যদি তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে পাপী ব্যক্তির হৃদয়ের মত হয়ে যায়, তবে তা আমার রাজত্বে কিছুই কমাতে পারবে না।
হে আমার বান্দাগণ! তোমাদের পূর্বের ও তোমাদের পরের সকলে, তোমাদের সমস্ত মানুষ ও তোমাদের সমস্ত জিন যদি সবাই একই ময়দানে দাঁড়িয়ে আমার কাছে চায় এবং আমি সকলের চাওয়া পূরণ করে দেই তবে আমার নিকট যা আছে তাতে সমুদ্রে এক সুঁই রাখলে যতটা কম হয়ে যায় তা ব্যতীত আর কিছু কম হতে পারে না।

হে আমার বান্দাগণ! আমি তোমাদের আমলকে (কাজকে) তোমাদের জন্য গণনা করে রাখি, আর আমি তার পুরোপুরি প্রতিফল দিয়ে দেব। সুতরাং যে ব্যক্তি উত্তম প্রতিফল পাবে তার আল্লাহর প্রশংসা করা উচিত, আর যে তার বিপরীত পাবে তার শুধু নিজেকেই ধিক্কার দেয়া উচিত।"

[মুসলিম: ২৫৭৭]

 

আপনার যা কিছু প্রয়োজন আল্লাহর কাছে চান সালাতে সিজদায়। তিনি দিবনই দিবেন যদি তা আপনার জন্য উপকারী হয়।
দুনিয়ারী সবাই হল ভিখারী একমাত্র ধনী আল্লাহ ।



আজ হতে কারো কাছে কোন কিছু চাইবেন না । একমাত্র তিনিই দিতে পারেন । যেকোন বিপদে আপনি তাঁর কাছে দুই রাকাত সালাত পড়ে সিজদায় চাইলে তিনি আপনার বিপদ দূর করে দিবেন , ইনশাআল্লাহ ।
সাহাবীরা এমন ছিল যে জুতার ফিতা হারিয়ে গেলে তা আল্লাহর কাছে সালাত আদায় করে চাইতো । তাঁরপর খূজঁতো । আগে আল্লাহর কাছে চান তাঁরপর কাজ করুন ।

একজন রিকশাওয়ালা আল্লাহর উপর ভরসা করে বের হয় , সে জানে তাঁর রিজিক রয়েছে । সে সকালে খালি রিকশা নিয়ে বের হয় কিন্তু ফিরে পরিবারের প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে । ঠিক পাখির মত ।

    وَلِلَّهِ خَزَآئِنُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَلَٰكِنَّ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ لَا يَفۡقَهُونَ
    ‘আর আসমানসমূহ ও যমীনের সমুদয় ধনভান্ডার তো আল্লাহ তা’আলারই, কিন্তু মুনাফিকরা তা বুঝতে পারে না।’ [সূরা আল মুনাফিকুন, ৬৩: ৭]

    আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের আল্লাহ এর উপর ভরসা করার তৌওফিক দান করুক । আমিন।


    আসল সফলতা তো জান্নাতে প্রবেশ করা। 
    দুনিয়ার সব কিছু আপনার মৃত্যুর মাধ্যমে শেষ হয়ে যাবে ।



    Post a Comment

    0 Comments