DEEPFAKE সর্ম্পকে জানেন?
আপনি এর শিকার না তো?
ডিপফেইক হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনি যেখোন ভিডিও বা ছবিতে তে আপনার চেহারার প্রতিস্থাপন করতে পারবেন। যা একদম রিয়েলের মত। টেলিনর রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিয়র্ন হ্যানসেন বলেছেন, ডিপফেইক কনটেন্টগুলো এতটাই অত্যাধুনিক হবে যে ডিজিটাল বিশ্বের কোনটা আসল কিংবা কোনটা নকল তা আলাদা করা কঠিন হয়ে যাবে। উন্নত অ্যালগরিদম সহজেই জাল ছবি ও ভিডিও তৈরি করতে পারবে।
মানে আপনি হয়ে যেথে পারেন কোন সিনেমার নায়ক বা নায়িকা ।
কি ধারুণ ব্যাপর তাই না ?
সিনেমা না করে নিজেই হয়ে গেলেন সিনোমার নায়ক ।
এই ডিপফেক করার জন্য বেশিকিছুর দরকার নেই শুধু আপনার চেহারার একটি ছবিই যথেষ্ট।
কিন্তু বাস্তবে এই প্রযুক্তি মানুষ খারাপ কাজে ব্যাবহার করছে ।
এই ডিফফেইক এ কারা শিকার হয় বেশি ?
মেয়েরাই এর বেশি শিকার। তা ও আবার খারাপভাবে।
কিভাবে এ হতে নিজেকে রক্ষা করবেন ?
বিনা প্রয়োজন ছবি আপলোড করবেন না । অপরিচিত যার সর্ম্পকে আপনার পূর্ব ধারণা নেই তাকেঁ ফেন্ডলিস্টে রাখবেন না । প্রয়োজনে প্রপাইল লক করুন।
আপনার ছবি ডিফফেইক হয়েছে কিনা কিভাবে খুঁজবেন ?
Search Engine এ গিয়ে ছবি দিয়ে র্সাচ করার অপশনে আপনার ছবি দিয়ে র্সাচ করে দেখেতে পারেন।
ধরতে কী প্রযুক্তি?
ডিপফেইক ভিডিও তৈরির প্রযুক্তি এতই নতুন যে এটি ধরতে ভুয়া তথ্য যাচাইকারী সংগঠনগুলো রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। সম্প্রতি গুগলের ঘোষণায় জানা যায়, তারা ডিপফেইক ভিডিও শনাক্তের জন্য একটি টুল তৈরি করছে।
এর কার্যক্ষমতা কেমন বা কবে আসবে জানা যায়নি। ফেস ফরেনসিকস নামে একটি প্রগ্রাম তৈরি করেছে মিউনিখের ভিজ্যুয়াল কম্পিউটিং ল্যাবের একটি দল। যদিও এটি একটি বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া সব জায়গায় সফল নয়। জিফিক্যাট ভুয়া ভিডিও শনাক্ত করার ক্ষেত্রে একটি পদ্ধতি এনেছে। যেখানে নিজেদের সাইটে ডিপফেইক ভিডিও খুঁজতে তারা এআই টুল ব্যবহার করছে। এটি ভিডিও থেকে মুখ বাদ দিয়ে অন্য ভিডিওর সঙ্গে শুধু ব্যাকগ্রাউন্ড মিলিয়ে দেখে। ডিপফেইকের বিপরীতে এই পদ্ধতি পুরোপুরি কার্যকর নয়।
0 Comments